প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি সাহিত্য সারাবিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে। সারাবিশ্ব বাংলাদেশ সম্পর্কে জানুক সেটাই চাই।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হঠাৎ টাকা পয়সা হয়ে গেলে কিছু মানুষ ইংরেজিতে কথা বলাকে স্মার্টনেস ভাবেন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট হতে গেলে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে তা ঠিক নয়। তবে কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে অনেক ভাষা শেখা দরকার। শিক্ষার মাধ্যমটা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত, তার সঙ্গে শিশুদের আরও দু-তিনটি ভাষা শেখানোর দরকার।’

এসময় তিনি বলেন অনুবাদ করতে গিয়ে অনেক সময় ভাষা বিকৃত করে ফেলা হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙ্গালী জাতি রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা দিয়ে গেছে। নিজের সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারলেই উন্নত জাতি গড়া সম্ভব৷ বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কয়েকটি সংগঠনকে সাথে নিয়ে ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমরা স্বাধীকার অর্জন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন শিক্ষার জন্য মাতৃভাষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজ ভাষায় শিক্ষা নিতে পারলে বুঝতে সহজ হয়। শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষা হওয়া উচিত। পাশাপাশি অন্য ভাষা শেখার সুযোগ রাখা উচিত। প্রাইমারি স্কুলগুলো যুগোপযোগী করা হয়েছে, কিন্তু কিছু মানুষ নামের পেছনে ঘুরে। মনে করে ইংরেজি বলতে পারলেই স্মার্ট হয়ে গেলো।

তিনি বলেন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শেখাতে হবে অন্যান্য ভাষা। এতে আত্মবিশ্বাসী হবে শিক্ষার্থীরা। সেভাবেই শিক্ষার পরিকল্পনা নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন আওয়ামী লীগের পদক্ষেপের জন্যই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি পেয়েছে। পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা সংরক্ষণের জন্য, গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট তৈরি করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন আমাদের দূর্ভাগ্য ৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে আমরা বিজয়ী জাতি তা বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম।